রিজার্ভ বেড়ে ১৯ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার

করোনা মহামারি, বৈশ্বিক সংঘাত-সংকটে গত দেড় বছর ধরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাতে নিয়মিত বিরতিতে কমেই চলেছে রিজার্ভের পরিমাণ। একইসাথে ডলার সংকটের কারণে মূল্যস্ফীতিও হু হু করে বাড়ছে। ফলে ব্যাপক সংকটে পড়েছে দেশের রিজার্ভ খাত। তবে দীর্ঘ সময় পর গত সপ্তাহে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আইএমএফের ফর্মুলা অনুযায়ী, ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমতে শুরু করে। কারণ ওই যুদ্ধের কারণে তেল ও গ্যাসের মতো পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইএমএফ, এডিবির ঋণসহ অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া ঋণ যোগ হওয়ার পর বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আরও বাড়বে।

আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮৯ মিলিয়ন ডলারসহ ডিসেম্বরে বিভিন্ন উৎস থেকে ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন:-

বিজ্ঞাপন

সম্পর্কিত খবর