পুঁজিবাজারে কমতে পারে আইপিও প্রবাহ

পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছিলেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু কর হারের ব্যবধান না বেড়ে উল্টো আড়াই শতাংশ কমেছে। তাতে পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারাবে। ফলে প্রত্যাশিত ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির বিপরীতে কমে যেতে পারে পুঁজিবাজারের আইপিও প্রবাহ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে তার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। তাতে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের পার্থক্য কমিয়ে আনার কথা জানান। তিনি বলেন, ঘোষিত বাজেটে শর্তসাপেক্ষে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির (পাবলিকলি ট্রেডেড নয়) আয় করের হার ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পরিপালন করলে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। আর শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হয় ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। অন্যদিকে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিগুলোকে কর দিতে হয় ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। সে হিসেবে তালিকাভুক্ত হলে একটি কোম্পানি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কর ছাড় পায়।

অর্থমন্ত্রী তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার বাড়িয়ে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং শর্ত পরিপালন করলে ২০ শতাংশ হারে করের প্রস্তাব করেছেন। অন্যদিকে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিগুলোর উপর ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। এ প্রস্তাব অনুমোদিত হলে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে মাত্র ৫ শতাংশ কর ছাড় পাবে। অর্থাৎ কর ছাড়ের হার ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে যাবে।

কয়েক বছর আগেও তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও তালিকাবহির্ভুত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে ১০ শতাংশ কর ছাড় পেতো। এটি কমতে কমতে এখন ৫ শতাংশে নামছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধানের কারনে অনেক ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে চাইবে না। এতে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন কার্যক্রমে কিছুটা হলেও বিঘ্ন ঘটবে।

শেয়ার করুন:-

বিজ্ঞাপন

সম্পর্কিত খবর