শেয়ারবাজারে আসলে স্টক এক্সচেঞ্জের শতভাগ শিখবেন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, স্টক এক্সচেঞ্জ সর্ম্পকে জানতে আপনি যদি বই পড়েন, তাহলে ৫০ শতাংশ শিখবেন। যদি ল্যাবে যান ৭৫ শতাংশ শিখবেন। যখন শেয়ারবাজারে যাবেন, তখন ১০০ শতাংশ শিখবেন। সুতরাং বই থেকে পাওয়া জ্ঞান এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয় থাকতে হবে।

আজ সোমবার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (আইইউবি) বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দেশের প্রথম ফাইনান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

আইইউবির তৃতীয় ও শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কোর্সের অংশ হিসেবে এই ল্যাবে স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় হাতে কলমে শিখতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে বিও হিসাব খোলা ও পরিচালনা করা, শেয়ার কেনা-বেচা, বাজার বিশ্লেষণ ইত্যাদি। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ওয়েব পোর্টাল ও নিজস্ব কয়েকটি ট্রেডিং সফটওয়্যার ব্যবহারেরও সুযোগ পাবেন আইইউবির শিক্ষার্থীরা।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ফাইনান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাবে সিমুলেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা পোর্টফোলিওগুলো কীভাবে পরিচালনা করবেন তা শিখতে পারবেন এবং অর্থ উপার্জন করছেন, নাকি হারাচ্ছেন সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতির সঙ্গে শেয়ার বাজারের প্রবৃদ্ধিকে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় শেয়ার বাজারের প্রবৃদ্ধি এখনো কম। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে জনমিতিক লভ্যাংশ সুফল ভোগ করছে। তরুণ প্রজন্মকে শেয়ার বাজার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে তোলার এটাই সঠিক সময়।

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ফাইনান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাব থেকে শিক্ষার্থীরা শুধু মৌলিক বিষয়গুলো জানবে তাই নয়, হাতে-কলমেও শিখবে। তারা যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে, তখন এটি তাদের সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। আইইউবি যেভাবে ফাইনান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাব চালু করেছে, তা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, যে কোনো দেশের জন্য শেয়ার বাজার খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিকে পথ দেখায় শেয়ার বাজার। সে হিসেবে আইইউবি যে একটি ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাব চালু করেছে। এটি একটি বড় ঘটনা।

আইইউবির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপের ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কোলাবোরেশন ইনশিয়েটিভসের অংশ হিসেবে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (এলবিএসএল) সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই ট্রেডিং ল্যাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এলবিএসএলের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা এবং আইইউবির ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ল্যাবটি পরিচালিত হবে।

শেয়ার করুন:-

বিজ্ঞাপন

সম্পর্কিত খবর