শেয়ারবাজারে আরও চার কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার

শেয়ারবাজারে আরও চার কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি চারটি হচ্ছে- খুলনা পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৯১৬তম জরুরী কমিশন সভায় শেষে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের নতুন এ আদেশ জারি করেছে।

বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চার কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারসহ মোট ৬টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি অর্থসংবাদকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসি সদ্য নিযুক্ত মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী।

বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে শেয়ারবাজারে মোট ৬টি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস রয়েছে। এর মধ্যে চারটি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস শিগগিরই উঠে যাবে। তবে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ওপর ফ্লোরপ্রাইস অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়া কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার বা মূল্যসীমা নিয়েও সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে বিএসইসি। সংস্থাটি জানায়, সার্কিট ব্রেকার নিয়ে ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা সিদ্ধান্তটি পুনর্বহাল করা হবে।

সভায় জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব বাতিলসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে বিএসইসি কর্তৃক প্রেরিত এ সংক্রান্ত চিঠি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া বিএসইসির  ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’ এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নিযুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পাশাপাশি পুঁজিবাজারের যেসকল ইস্যুয়ার কোম্পানি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড প্রদান করেনি, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এছাড়া সভায় কাজাখস্তানের সাথে স্বাক্ষরের জন্য খসড়া সমঝোতা স্মারকটিতে মন্ত্রণালয় হতে অনুমোদনের বিষয়টি আলোচ্য সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারকে পারস্পারিক তথ্য বিনিময়, দক্ষতার উন্নয়নসহ যেসকল বিষয়াদি রয়েছে তা উভয়দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে মনে করছে বিএসইসি। যেহেতু দুই পক্ষের মধ্যে কোন মতবিরোধ হলে নিজস্ব আইনকানুন প্রযোজ্য হবে মর্মে সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ আছে, তাই এর শর্ত পালনে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে সভায় জানানো হয়।

শেয়ার করুন:-

বিজ্ঞাপন

সম্পর্কিত খবর