economistpost.com

ভোলার গ্যাস ঢাকায় আনছে ইন্ট্রাকো

ভোলার গ্যাস বিশেষ ট্রাকে সিএনজি আকারে ঢাকা ও আশপাশের শিল্পাঞ্চলে নিয়ে আসছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেড। চলতি বছরের মে মাসে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি করেছে ইন্ট্রাকো। চুক্তির সাত মাস পর এ গ্যাস শিল্পে আসা শুরু হলো।

জানা যায়, ইন্ট্রাকো সরকারের কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ১৭ টাকায় কিনে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করবে। উদ্বোধনের দিন প্রথমে এ গ্যাস তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন শিল্প এলাকা গাজীপুরের গ্রাফিকস টেক্সটাইলে সরবরাহ হবে। পরে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস আকারে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের শিল্পাঞ্চলে দেওয়া হবে।

আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর একটি হোটেলে সিএনজি আকারে গ্যাস আনার এ কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে চার-পাঁচ মাসের মধ্যে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রূপান্তর করে তা ঢাকায় সরবরাহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এক বছরের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। মূলত গ্যাসকে চাপের মাধ্যমে তরলে পরিণত করে তা ট্যাংকে জমানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় গ্যাসকে তরলীকরণ করে তা পরিবহন করা হবে।

জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঞ্চালন লাইন না থাকায় ভোলা থেকে উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনা যাচ্ছে না।

দ্বীপ জেলা ভোলায় ১৯৯৫ সালে গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার হয়। জেলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে বাপেক্স। এরপর ২০১৮ সালে ভোলা নর্থ নামে দ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়। চলতি বছরে ইলিশা-১ কূপকে ভোলার তৃতীয় গ্যাসক্ষেত্র এবং দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করা হয়। এ তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে নয়টি কূপ রয়েছে।

এমআই

Exit mobile version