economistpost.com

বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি

দেশের রিজার্ভ খাতের অন্যতম উৎস প্রবাসী আয়। তবে ডলার সংকট মোকাবিলায় নানান উদ্যোগ নেওয়া হলেও পুরো বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়েনি। গত ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা আগের বছরের তুলনায় কয়েক শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলার, যা ২০২২ সালে ছিল ২ হাজার ১৫০ কোটি ডলার। অথচ বিদায়ী বছরে ১২ লাখের বেশি জনশক্তি রপ্তানির রেকর্ড হয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসীরা ঠিকই আয় পাঠাচ্ছেন। কিন্তু অর্থ পাচার অব্যাহত থাকায় তা বৈধ পথে আসছে না। অর্থ পাচারকারীরা সেই ডলার কিনে ফেলছেন। সেই সুবাদে পাচারকারীরা দেশে প্রবাসীর পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। নতুন অভিযোগ হচ্ছে, বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ ও রেমিট্যান্স কোম্পানিগুলো অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আয় আসছে না।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বছরভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে ২০২১ সালে। ওই বছরে প্রবাসীরা দেশে মোট ২ হাজার ২২১ কোটি ডলার পাঠান। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে তখন বৈশ্বিক যাতায়াত বন্ধ ছিল। পাশাপাশি অর্থ পাচারকারীরাও কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে পরের বছরেই, অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রবাসী আয় কমে হয় ২ হাজার ১৫০ কোটি ডলার। আর চলতি মাসে গত বুধবার পর্যন্ত আয় এসেছে ১৮৫ কোটি ডলার। ফলে ওই দিন পর্যন্ত ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৭ কোটি, ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৬ কোটি ও ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার আসে।

প্রবাসীরা এখন বৈধ পথে আয় পাঠালে প্রতি ডলারের বিপরীতে পাচ্ছেন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। দেড় মাস আগে প্রবাসীদের ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও সমপরিমাণ প্রণোদনা দিচ্ছে।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৮২ কোটি ডলার, যা গত বৃহস্পতিবার বেড়ে হয় ২ হাজার ৭১০ কোটি ডলার। ডলার–সংকটের মধ্যে সেদিন বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২২ কোটি ডলার কিনে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এমআই

Exit mobile version