নির্বাচনে জয়ী পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ডিএসইর অভিনন্দন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী দেশের পুঁজিবাজারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিবর্গকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লিমিটেড।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু এক বার্তায় পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে অভিনন্দন জানান।

দেশের পুঁজিবাজারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সু-পরিচিত ও স্বনামধন্য ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দগণ হলেন- বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার জাহিদ মালেক, এইচআর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক সাবের হোসেন চৌধুরী, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার এ.কে. আজাদ, এআরসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহমান, মোনা ফাইন্যান্সিয়াল কন্সালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আহসানুল ইসলাম, ট্রেজারার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, ট্রাস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মন্ডল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মমিন মন্ডল, বিএনবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম, আরএকে ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিচালক এসএকে একরামুজ্জামান, আনোয়ার খান মডার্ন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেইন খান, স্নিগ্ধা ইকুইটিজ লিমিটেডের পরিচালক নিজাম উদ্দিন হাজারী, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক এইচ.এম. ইব্রাহিম এবং মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের পরিচালক সাকিব আল হাসান৷

অভিনন্দন বার্তায় ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের মধ্যে রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার, ট্রেকহোল্ডারসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। উপদেষ্টা, মন্ত্রী, বিশিষ্ট শিল্পোউদ্যোক্তা এবং পুঁজিবাজার বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরসহ তাদের রয়েছে বহুমুখী ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন।

ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পুঁজিবাজারের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে তারা আগামী দিনগুলোতে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অধিকতর ভূমিকা রাখবেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজার বান্ধব ব্যক্তিত্ব। পুঁজিবাজারের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতেও তার এই সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।

ড. হাসান বাবু আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে অবকাঠামোগত ভাবে দেশে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতোমধ্যে এই সব অবকাঠামোকে ঘিরে সারা দেশের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশের পুঁজিবাজার হতে পারে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের অন্যতম মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো স্মার্ট ইকোনমি। আর স্মার্ট ইকোনমির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পুঁজিবাজার।

তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, পুঁজিবাজারকে স্মার্ট পুঁজিবাজারে রূপান্তর করার জন্য আপনাদের বিচক্ষণ দিকনির্দেশনা ও উদ্ভাবনী চিন্তা চেতনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা গেলে দেশের পুঁজিবাজার এশিয়ার নেতৃস্থানীয় পুঁজিবাজারে পরিণত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

শেয়ার করুন:-

বিজ্ঞাপন

সম্পর্কিত খবর