economistpost.com

৩৫ কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস বহাল রেখেছে বিএসইসি

bsec

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫টি কোম্পানি ছাড়া বাকী সব কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার (২১ জানুয়ারি) থেকে এসব কোম্পানির শেয়ারের উপর ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না। অর্থাৎ শুধু ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের উপর ফ্লোর প্রাইস থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আলোচিত কোম্পানিগুলোর উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

যে কোম্পানিগুলোর উপর ফ্লোরপ্রাইস থাকবে সেগুলো হচ্ছে- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বারাকা পাওয়ার, বিএটিবিসি, বেক্সিমকো, বিএসসিসিএল, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডোরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস লিমিটেড, কেপিসিএল, কট্টালি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, রেনাটা, রবি, সায়হাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, শাহজীবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।

বিধি অনুসারে, এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে সার্কিটব্রেকার তথা একদিনে মূল্য পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা কার্যকর হবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং শ্রীলংকার দেউলিয়া ঘোষণাজনিত আতঙ্কের প্রেক্ষিতে দেশের পুঁজিবাজারে বড় দর পতনের আশংকার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। তার আগে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর একবার ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করা হয়েছিল।

ফ্লোরপ্রাইসের কারণে বাজারে শেয়ার কেনাবেচা একেবারে কমে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরপ্রাইস বহাল থাকায় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোও সঙ্কটে পড়ে।

এদিকে আজ ডিএসই ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এর মতবিনিময় সভায় ফ্লোরপ্রাইসের তীব্র সমালোচনা করা হয়। উভয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাজারকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেওয়ার আহ্বান জানান।

Exit mobile version