মার্চেই উঠতে পারে তিন কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস

পুঁজিবাজারের লেনদেনে গতি ফিরে আসায় ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা কোম্পানির সংখ্যা ধাপে ধাপে কমিয়ে আনছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল সংস্থাটির নতুন নির্দেশনায় আরও তিনটি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া বহুজাতিক অন্য তিন কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তাদের রেকর্ড তারিখে পরে উঠে যাবে বলে জানানো হয়। তবে মার্চেই এই তিন কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠার সম্ভবনা রয়েছে।

সাধারণত শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানি যখন আর্থিক বছর শেষে লভ্যাংশ ঘোষণা করে, তখন ওই লভ্যাংশের দাবিদার ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো একটি রেকর্ড তারিখ ঘোষণা করে। ওই তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকে। সেদিন যাঁদের হাতে শেয়ার থাকে, তাঁরাই কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশের দাবিদার হিসেবে বিবেচিত হন।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, রেকর্ড তারিখে পরে ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়া তিনটি কোম্পানি হলো- ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ বা বিএটিবি, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের পর্ষদ সভা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে এজিএমের তারিখ এবং রেকর্ড ডেটও নির্ধারণ করা হয়।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২ মে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গ্রামীণফোনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ রেকর্ড তারিখের পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে (৩ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারে ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না।

এদিকে বাকি দুই কোম্পানির মধ্যে বিএটিবিসি তাদের পর্ষদ সভার তারিখ জানিয়েছে। আগামীকাল তথা ৮ ফেব্রুয়ারি বিএটিবিসির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে লভ্যাংশের দাবিদার নির্ধারণ করতে রেকর্ড তারিখ ঘোষণা করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্চের শুরুতেই বা কাছাকাছি সময়ে তাদের রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে। আগের বছর কোম্পানিটির রেকর্ড তারিখ ছিল ২ মার্চ।

রবি আজিয়াটা এখনো তাদের পর্ষদ সভার তারিখ না জানালেও খুব শিগগির তা জানানো হতে পারে। গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি রবির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। যেখানে রেকর্ড তারিখ ছিলো ১৩ মার্চ। এবারও কাছাকাছি সময়ে কোম্পানিটির রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ হতে পারে। অর্থাৎ আগামী মার্চেই উঠতে পারে তিন কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস।

শেয়ারবাজারের দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বিএসইসির বেঁধে দেওয়া দামের নিচে নামতে পারে না। ফলে শেয়ারবাজারে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করে, পাশাপাশি কমে যায় লেনদেন। এমন এক পরিস্থিতিতে গত ২১ জানুয়ারি প্রথম দফায় ৩৫টি বাদে বাকি সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৩ জানুয়ারি তুলে নেওয়া হয় আরও ২৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। সর্বশেষ গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি আরও তিন কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এখন পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা ৬টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার।

আজ শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস ছাড়া লেনদেন করা নতুন তিনটি কোম্পানি হলো- রেনাটা, ওরিয়ন ফার্মা ও আনোয়ার গ্যালভ্যানাইজিং।

শেয়ার করুন:-

বিজ্ঞাপন

সম্পর্কিত খবর