economistpost.com

দুই মাসে এলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০০-৫০০ টাকা

এলাচ

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে এলাচের দাম বাড়ছেই। দুই মাসের ব্যবধানে মসলাপণ্যটির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে এলাচের চাহিদার সিংহভাগই আমদানিনির্ভর। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। আবার দেশে রিজার্ভ দ্রুত কমে যাওয়ায় এলসি খুলতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। এসব কারণে চাহিদার তুলনায় আমদানি কমায় অব্যাহত দাম বাড়ছে পণ্যটির।

নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, ভালো মানের এলাচ বাজারে (প্রথম গ্রেড) বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে। গত জুলাইতেও পণ্যটি ১ হাজার ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে কেজিতে এলাচের দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা।

অন্যদিকে গতকাল কিছুটা নিম্নমানের এলাচের (দ্বিতীয় গ্রেড) বাজারদর ছিল কেজিপ্রতি ১ হাজার ৯০০ টাকা। দেড় মাস আগেও একই জাতের এলাচ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি এলাচে দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা।

এদিকে তৃতীয় গ্রেডের এলাচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে। মাসখানেক আগে যার বাজারমূল্য ছিল ১ হাজার ১০০ টাকার মতো। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা।

মসলাপণ্যটির বিক্রেতা বিসমিল্লাহ স্টোরের স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন বলেন, ‘‌দুই মাসের ব্যবধানে এলাচের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। বাজারে ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলায় জটিলতা ও আন্তর্জাতিক বাজারে এলাচসহ বিভিন্ন মসলার দাম বেড়েছে। দেশে চাহিদার তুলনায় এলাচ আমদানির পরিমাণ পর্যাপ্ত নয়। এসব কারণে দেশের বাজারে দাম বাড়তির দিকে।’

উচ্চমূল্যে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, এলাচ সবাই অল্প পরিমাণে কিনে থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করেন। কারণ অল্প পরিমাণে কেনা হয় বলে ক্রেতারা দামের বিষয়ে খুব বেশি ভেবে দেখে না।

মসলা ব্যবসায়ী আবির হোসেন জানান, দেশের বাজারে এলাচসহ অধিকাংশ মসলাপণ্যই মূলত আমদানিনির্ভর। ডলার সংকট কাটলে মসলার আমদানি খরচ কমে আসবে। পর্যাপ্ত আমদানি হলে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

Exit mobile version