economistpost.com

ডরিন পাওয়ারের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫ বছরের চুক্তি

পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের নরসিংদিতে অবস্থিত ২২ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনের জন্য ৫ বছরের চুক্তি করেছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) হিসেবে ৫ বছরের চুক্তি সম্পন্ন হয়।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট বেসিস’ শর্তে পাঁচ বছরের চুক্তি করে কোম্পানিটি। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) সাথে কোম্পানিটির শুল্ক এবং অন্যান্য শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চূড়ান্ত আলোচনা শেষে উৎপাদনে যাবে ডরিন পাওয়ারের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

এর আগে পিপিএ’র মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও একই বছরের ৯ এপ্রিল ডরিন পাওয়ারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। এবার আবেদনে সাড়া দিয়ে ডরিন পাওয়ারের নরসিংদির বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে আরও ৫ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ দিতে চুক্তি করে বিআরইবি।

২০০৮ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন্স অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নর্দান ও সাউদার্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ডরিন পাওয়ার ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মুলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭০২ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

Exit mobile version