economistpost.com

বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে অস্ট্রেলিয়া

স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখবে অস্ট্রেলিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দেশে গত ১১ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া সফর করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সফরে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ানের সাথে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশকে অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন চান সচিব। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার আশ্বাসের প্রশংসা করেন বাণিজ্য সচিব।

অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনের উপ-নির্বাহী প্রধান ফিলিপ্পা কিং এর সাথে বৈঠক করেন তপন কান্তি ঘোষ। বৈঠকে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিয়েছেন ফিলিপ্পা কিং।

তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্য প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন তপন কান্তি ঘোষ। অস্ট্রেডের উপ-নির্বাহী প্রধান উচ্চ শিক্ষার বিকল্প মডেল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়ের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন। বৈঠকে উচ্চ শিক্ষা ছাড়াও কারিগরী শিক্ষা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। এসময় দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়।

এছাড়া, অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান ক্রিস বার্নস এবং সেদেশে স্থানীয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চেম্বারের সদস্যদের সাথেও বৈঠক করেন সিনিয়র সচিব। আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভায় ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টেকে পরবর্তী ধাপে উন্নয়নের জন্য করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।

এদিকে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তপন কান্তি ঘোষ। সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের প্রশংসাও করেন তারা।

বর্তমানে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বেশি। গত দশকে দুদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিশীল এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Exit mobile version