জার্মানির মৎস্য মেলায় বাংলাদেশের ৩ প্রতিষ্ঠান

জার্মানির ব্রেমেনে অনুষ্ঠিত মৎস্যশিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার, বিপণন ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক মিলনমেলা ‘ফিশ ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার ব্রেমেন ২০২৪’ এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ৩ প্রতিষ্ঠান। গতকাল রোববার বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন হওয়া এই মেলা আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এ মেলা চলবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মো. সাইফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় তিনি বলেন, ‘ফিশ ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের উপস্থিতি বৈশ্বিক সমুদ্রে আমাদের পদচিহ্ন প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে। শিল্প, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে আমাদের উচ্চমানের পণ্য প্রদর্শন করছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জার্মানির ব্রেমেনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মৎস্য মেলায় বিশ্বের ২৭টি দেশের ৩২০ জন প্রদর্শক অংশ নেয়। ১০ হাজার ৩০০ বর্গ মিটার প্রদর্শনী স্থান নিয়ে মেলাটি আবারও বিশ্বব্যাপী এ শিল্পের পেশাদারদের জন্য প্রধান মিটিং পয়েন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এ মেলা চলবে। বিশ্বব্যাপী মৎস্য শিল্পের নেটওয়ার্কিং এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি একটি অতুলনীয় সুযোগে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশের মেলায় অংশগ্রহণের বিষয়টি সমন্বয় করছেন। তিনি জানান, মেলায় বাংলাদেশের তিনটি কোম্পানিকে অংশগ্রহণ করেছে। কোম্পানিগুলো হলো—ডিপ সি ফিশার্স লি, এম. ইউ. সী ফুডস লিমিটেড এবং ক্যাটেলিয়া এ সীফুড টেল। বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে এই কোম্পানিগুলো বিশ্ব সামুদ্রিক মাছের বাজারে দেশের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি তুলে ধরতে প্রস্তুত।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফিশ ইন্টারন্যাশনালে আমাদের উপস্থিতি বিশ্ব সামুদ্রিক খাবারের বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, এই ধরনের অংশগ্রহণ ব্যবসায়িক যোগাযোগ এবং বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধি করে।’

ডিপ সি ফিশার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ১ দশমিক ৭ লাখ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা রয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা ৪৬০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় সামুদ্রিক মাছ সংগ্রহ করতে পারি। এই সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে, আগামী পাঁচ বছরে সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।’

উল্লেখ্য ২০২২ সালে এই মেলায় বাংলাদেশ প্রথম অংশগ্রহণ করে। সেবার মৎস্য অধিদপ্তর, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পূর্ববর্তী অংশগ্রহণের সাফল্য, এই বছর এই তিনটি কোম্পানিকে ফিশ ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে মেলায় অব্যাহত রাখতে প্রভাবিত করে।

শেয়ার করুন:-

বিজ্ঞাপন

সম্পর্কিত খবর