economistpost.com

ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ

ব্যাংকের ৯-৬ সুদহার তুলে নেওয়ার পর ঋণের সুদহার বেড়ে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। ট্রেজারি বিলের সুদহার দ্রুত বাড়তে থাকায় ঋণের সুদহার আরও বেড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আগামী মাসে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে সুদ নেবে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। মার্জিনের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। যা নতুন পদ্ধতিতে নির্ণয় করা ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার।

তবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আইএমএফের ঋণের শর্ত পরিপালনের জন্য চলতি অর্থবছরের শুরুতে ঋণের সুদহার বাস্তবমুখী করতে সীমা তুলে দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছিলো নতুন মুদ্রানীতিতে সুদহার নির্ধারিত হবে স্মার্ট (শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ) পদ্ধতিতে। অর্থাৎ ট্রেজারি বিলের সাথে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংক।

নতুন করে সুদহার বাড়তে থাকায় এ চাহিদায় আরও কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। প্রতি মাসে নতুন করে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকগুলোকে সুদহার নির্ধারণ করতে হয় ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। ফলে বাড়তি সুদহার সব গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা সম্ভব হয় না।

এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে ব্যাংকঋণের সুদ সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে মেয়াদি আমানতের সুদহারও বেঁধে দেওয়া হয়, সে হার ছিল ৬ শতাংশ। এ কারণে দীর্ঘদিন দেশের ব্যাংক খাতে ঋণ ও আমানতের ক্ষেত্রে সুদহার ৯-৬–এ সীমাবদ্ধ ছিল। পরে যা ব্যাংক খাতে ৯-৬ হিসেবে পরিচিতি পায়।

Exit mobile version