economistpost.com

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে চলবে পায়রা বন্দর

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালিত হবে। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, পায়রা বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল-১-এর উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বেসরকারি খাতের কোন কোন প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নীতিগত অনুমোদনের পর এখন এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত করবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, দেশের আধুনিক তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে এটি পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী করতে কিছু উন্নয়ন কাজ বাকি রয়েছে। পিপিপি ভিত্তিতে এসব কাজ সম্পন্ন করে আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এটি উদ্বোধনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর পর টার্মিনালটি পরিচালিতও হবে পিপিপি ভিত্তিতে।

পায়রা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরের প্রথম টার্মিনালে পণ্যবাহী জাহাজ ভেড়ানোর লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। রাবনাবাদ চ্যানেলের চারিপাড়ায় এ টার্মিনালে একই সঙ্গে ২০০ মিটারের তিনটি মাদার ভেসেল ভেড়ানোর সক্ষমতা থাকবে। এ ছাড়া ৬৫০ মিটার দীর্ঘ মূল টার্মিনাল, ৩ লাখ ২৫ হাজার বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ড ও ১০ হাজার বর্গমিটার সিএফএস সুবিধা থাকছে।

টার্মিনাল চালুর পর বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু এ টার্মিনালই নয়, সড়ক পথে পণ্য পরিবহনের জন্য প্রথম টার্মিনালের সঙ্গে ছয় লেনের ৬ দশমিক ৩৫০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজও চলমান রয়েছে। এ ছাড়া আন্ধারমানিক নদীতে এক দশমিক ১২ কিলোমিটার চার লেনের সেতুর নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে।

উদ্বোধনের পরেই প্রথম টার্মিনাল থেকে সড়ক পথে আন্ধারমানিক নদীর ওপর সেতু দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হবে। ভারি যানবাহন চলাচলের জন্য শিগগির ওই নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এ ছাড়া নদীর ওপর যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ছয় লেন সড়ক ও চার লেন সেতু নির্মাণসহ এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা।

Exit mobile version