economistpost.com

পুঁজিবাজারে শেয়ারধারী বিও হিসাব কমেছে ৪৩ হাজার

পুঁজিবাজারে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে নেতিবাচক ধারা। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের শুরুতে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক লেনদেন দেখা গেলেও পর্যায়ক্রমে তা আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। এদিকে শেয়ারধারী বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে কমেছে ৪৩ হাজার ৩৪০টি। অন্যদিকে কোনো শেয়ার না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৫০ হাজার ৯৭৭টি।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি শেয়ারধারী বিও হিসাব সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৫ হাজার ৭৬৩। সর্বশেষ ২৫ মার্চ তা কমে দাঁড়ায় ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৪২৩টিতে। ২১ জানুয়ারি শেয়ার না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার ৪০২। ২৫ মার্চে তা বেড়ে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৯-তে উন্নীত হয়।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি বাদে সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর পর আরো দুই দফায় ২৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বর্তমানে বহাল আছে ছয়টির ওপর। এ আদেশ কার্যকর হওয়ার পরই মূলত কমতে শুরু করেছে শেয়ারধারী বিও হিসাব সংখ্যা। তবে দুই মাসের ব্যবধানে মোট বিও হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার ২২৪টি। তবে অধিকাংশই শেয়ার না থাকা বিও হিসাব।

সিডিবিএলের তথ্যমতে, গত ২১ জানুয়ারি মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭১টি। ২৫ মার্চ তা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫তে। ২১ জানুয়ারি পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৬, যা ২৫ মার্চ ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ১২তে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ হাজার ৩৬৬টি। অন্যদিকে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১২টিতে। ২১ জানুয়ারি শেষে পুঁজিবাজারে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৫২, যা ২৫ মার্চ শেষে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৫ মার্চ ব্যক্তিগত বিও হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৭, যা ২১ জানুয়ারি ছিল ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৪টি। এক মাসের ব্যবধানে ব্যক্তিগত বিও হিসাব কমেছে ৬৪ হাজার ৯২৫টি। ২৫ মার্চ যৌথ বিও হিসাব দাঁড়ায় ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৯টিতে, যা ২১ জানুয়ারি ছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৪।

এদিকে আজ ডিএসইতে শেয়ারদর পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট। একইসাথে ডিএসইএক্স ৩৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে অবস্থান নিয়েছে।

Exit mobile version