economistpost.com

স্বস্তি ফেরেনি বাজারে, চড়া মুরগির দাম

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এর মধ্যেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে ঈদের পূর্বমুহূর্তে বাড়তে শুরু করেছে সবকিছুর দাম। এতে নাভিশ্বাস উঠছে স্বল্প আয়ের মানুষদের।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৫০-৭৬০ টাকা। সবধরনের মুরগিরতেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। তবুও ভিড় দেখা গেছে মুরগির দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের অসন্তোষ সত্ত্বেও বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে আরো বাড়তে পারে দাম।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে গরু ও মুরগির মাংসের দামের এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি যাচ্ছে। রোজা শুরুর আগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও রমজান মাস উপলক্ষ্যে দাম বেড়ে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু হয়। তবে ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। এছাড়া খাসির মাংসও প্রতি কেজি ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ঈদকে ঘিরে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও, এটি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা দরে। যা কিছুদিন আগেও ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া সোনালী মুরগির দামও বেড়ে প্রতি কেজি এখন ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কক মুরগি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, গত বছরের শেষ দিকে হঠাৎ করে ঢাকার বাজারে ব্যবসায়ী ও খামারিরা দামে ছাড় দিয়ে মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। তখন গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা। তবে সে দামে কিছুদিন বিক্রি হলেও এরপর বাজারে গরুর মাংসের দাম আবার বাড়তে থাকে। পবিত্র শবে বরাতের সময় গরুর মাংসের দাম ওঠে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। এরপর কিছুদিন আবারও ৭৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে আবার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, রোজা ঘিরে কয়েকদিন আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন সেটা অসহনীয় পর্যায়ে আছে। বাজারে লেগেছে ঈদের হাওয়া। যে যার খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে যাই ধরা হয়, সেটারই দাম বেশি। সবকিছুর দাম বেশি। চার-পাঁচদিন আগেও মুরগি ছিল কেজি ২০০ টাকা, কিন্তু এখন দাম বেড়ে ২৪০ টাকা।

বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনদিন মাছ-মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে দেখছি মাছের বাজার চড়া। যেকারণে কিনতে গেলেও বারবার হিসেব করতে হয়। এখন আর আগের মতো প্রতি সপ্তাহেই গরুর মাংস কেনা যায় না।

গরুর মাংস বিক্রেতা নাঈম হাসান জানান, তিনি গরুর মাংস বিক্রি করছেন ৮০০ টাকা কেজি। নাঈমের ভাষ্যমতে, এরপরও তিনি লাভের মুখ দেখতে পারছেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাজারে গরুর দাম চড়া, যেকারণে বাধ্য হয়েই মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে।

Exit mobile version